যোজনগন্ধা
এবারের ঠান্ডা বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে। ঘরে বাইরে তাপমাত্রা প্রায় পাঁচ ডিগ্রির কাছে। ঘন কুয়াশার চাদর গ্রামের চারপাশের গাছপালা,ঘরবাড়ি, খেতখামারকে ঢেকে রেখে পৃথিবীকে করে তুলেছে রহস্যময়। পাখিদের কলতান অবশ্য জানান দিচ্ছে যে চরাচরের নিদ্রাভঙ্গ হয়েছে।অনেক বছর পর স্যমন্তক এই অখণ্ড শান্তির জলে ধৌত হচ্ছে।বড়ো নিশ্চিন্ত আর আরাম বোধ করছে।মাত্র তিন দিনের জন্য আসা।ঠাম্মার শ্রাদ্ধশান্তি মিটে যেতেই আবার ফিরতে হবে মেকি সৌজন্যবোধে ঘেরা শহুরে চার দেওয়ালের দমবন্ধ করা পরিবেশে। কথাটা মনে হতেই মাথার ভেতরটা দপ করে উঠলো।ভোরের সৌন্দর্য আর শুদ্ধতার উপর এক ঝুড়ি আবর্জনা ছড়িয়ে গেল যেন! উল্টোপাল্টা হিমেল বাতাস নাক দিয়ে ঢুকলেও, শরীরের অভ্যন্তরীণ উষ্ণতার কাছে হার মানল বোধহয়। গতরাতে বস্ মিসেস শ্রীছন্দা হালদারের সাথে স্যমন্তকের কথা কাটাকাটিগুলো একটা সময় যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছিল,এখন সেগুলোই আবার স্বমহিমায় ফিরে এসে তীব্র যন্ত্রণা ছড়িয়ে দিল মাথার ভেতর।সূর্যের রশ্মিজাল কুয়াশার চাদরকে ভেদ করে যেমন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি স্যমন্তকের মাথার যন্ত্রণাও সারা শরীরে সঞ্চারিত হয়ে এক অসীম তিক্ততার আস্বাদ দেয়। হালদারের খোঁচা দিয়ে বলা কথাটা তীব্রভাবে আঘাত হানে মস্তিষ্কে।নিজেকেই কেমন যেন ঘৃণ্য মনে হলো স্যমন্তকের।”ভুলে যেও না বোস ক্লায়েন্টকে খুশি করাই তোমার জব।যা উপরি পাও নিজের মারকাটারি ফিজিক আর পারফরম্যান্সের জন্যই পাও।এই কাজটা না থাকলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে জুতোর সোল শেষ করতে হতো অথবা হকারি করতে হতো বোস।তোমার মতো আঠারো জন গিগলো আমার এজেন্সিতে কাজ করে আর তারা ভালো উপার্জনও করে। আমার তোমাকে ছাড়াও চলে যাবে কিন্তু তোমার তো আমাকে ছাড়া চলবে না বোস।” কান মাথা ঝাঁ ঝাঁ করে উঠেছিল স্যমন্তকের।আবারও শরীর জুড়ে অস্বস্তি হচ্ছে। তীব্র ঘৃণার উদ্রেক হচ্ছে।গিগলো!! গিগলো!! পুরুষ বেশ্যা!!
টেলারিং শপ চালানো জীবনকৃষ্ণ বোসের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে তিন মেয়ে এক ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে ভরা সংসার। কোনোক্রমে এক মেয়ে পাত্রস্থ হলেও মাথার উপর দেনার পাহাড়। বরাবরের মেধাবী স্যমন্তকের উপর ভীষণভাবে ভরসা করেছিলেন যে ছেলে বড়ো হয়ে একজন ভালো রোজগেরে হবে।কিন্তু এ বাজারে একজন সাধারণ বি.এ. পাশের যে চাকরির দরখাস্ত লেখারও যোগ্যতা নেই তা জানা ছিল ঐ পরিবারটির।সদ্য গ্রাজুয়েট ছাত্রটি যখন যেমন তেমন একটা চাকরির সন্ধানে কার্যত ছুটে বেড়াচ্ছে, তখনই একদিন হঠাৎ করে খবরের কাগজ দেখে চাকরি প্রার্থী হয়ে ছুটে আসে “সিক্রেট গোল্ড এজেন্সি”-তে।সেক্রেটারিয়েট টেবিলের একপাশে স্যমন্তক আর অন্যপাশে শ্রীছন্দা হালদার ও তার স্বামী স্বরূপ হালদার। কথাবার্তা সব ম্যাডামই বলছিলেন। শ্রীছন্দার ব্যক্তিত্ব যথেষ্ট আকর্ষণীয়।স্যমন্তকের বায়োডাটা দেখে, পারিবারিক কাহিনী মন দিয়ে শুনে ঝরঝর করে কাজের ধরণের বিশ্লেষণ করে ছিলেন, যা শুনতে শুনতে কান লাল হয়ে গেছিল মফস্বলের ছেলেটির।” শোন বোস, আমাদের জবটা হলো ক্লায়েন্ট সার্ভিসের। মেইনলি শহরের বিভিন্ন সেকশনের লেডিজরা তাদের ইনডিভিজুয়াল প্রবলেম আমাদেরকে সিক্রেটলি জানান এবং আমরা সেটা সিক্রেটলি সলভ্ করি।অনেক টাকার খেলা।সোজা কথায় শহুরে লোক ভেকধারী। তাদের ঘোমটার তলায় খেমটার নাচন।নিজের শরীরটাকে তোমাকেই জানতে হবে, তার ব্যবহার জানতে হবে, এককথায় সেক্স করতে হবে বোস।প্রেমহীন শরীরী খেলা।এনজয় দ্য লাইফ এন্ড গেট মানি ইজিলি।এটা দশটা পাঁচটার চাকরি নয়।যেদিন যে ক্লায়েন্ট তোমাকে বুক করবে সেইদিন তাকে ফিজিক্যালি স্যাটিসফাই করবে। তুমি তখন তার কেনা।তার ইচ্ছানুসারেই তোমাকে তখন চলতে হবে। একটা সরকারি চাকরিতে মাসভর হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে যে পরিমাণ উপার্জন করতে পারবে এখানে তার ডবল ইনকাম করতে পারবে একমাসে।কপাল থাকলে ছয় মাসেই বাড়ি গাড়ি হওয়া কে আটকায় ভাই!” মাথা নিচু করে বসে আছে স্যমন্তক।দোলাচলে ভুগছে।”এই কি জীবন! নিয়তি এতো নিষ্ঠুর! হাইফাই স্বপ্ন তো কোনদিনই ছিল না! বাবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব পালন করা- দিদিদের ভালো ভাবে বিয়ে দেওয়া-সংসারে সকলকে একটু স্বাচ্ছন্দ্যের মুখ দেখাতে চাওয়া।এই কি ভাগ্য আমার! ঠাম্মা বলতেন কর্মফল।কোন্ পাপের এমন শাস্তি!” শ্রীছন্দা বোধহয় মন পড়তে জানে।মায়ামাখা সুরে বলেছিল, “ডোন্ট গেট আপসেট বোস।এর চেয়ে ইজি মানি আর নেই ভূভারতে।লোকে দিনরাত খেটে সাত/আট বা ম্যাক্সিমাম দশ, আর তুমি জাস্ট পয়সাওয়ালা লেডিজের এন্টারটেইন করে যা আর্ন করবে নিজের ভাগ্যকে তখন ধন্যবাদ দেবে।দেখেই বোঝা যায় বড্ড ইনোসেন্ট তুমি। একটা সত্যি কথা বলি তোমায়।টাকার গায়ে পাপ-পুণ্য লেখা থাকে না।চাকরি করছ বললে সেটাই সত্যি হয়ে দাঁড়াবে তোমার ফ্যামিলির কাছে,কিভাবে আর্ন করছ কেউ মাথা ঘামাবে না।পৃথিবী টাকার কথায় চলে ভাই।যার যত টাকা তার তত সন্মান। চোখ-কান খোলা রেখে সমাজ জীবনকে দ্যাখো তাহলেই আমার কথার সত্যতা প্রমাণিত হবে তোমার কাছে। আজকের দিনটা ভাবো।রাজি থাকলে কাল এসে কন্ট্রাক্ট সাইন কোরো।কপাল ফিরে যাবে।” মফস্বলের শান্ত নিম্নবিত্ত অঞ্চলের বাইরে এমন একটা পৃথিবী সমান্তরালে চাবকে যাচ্ছে দুনিয়াটা ভাবতে গিয়ে খুব অসহায় বোধ করে স্যমন্তক।।
রাতের আকাশের সাথে কথা বলাই স্যমন্তকের একমাত্র বিলাসিতা।ছোট থেকেই সুদূরের নক্ষত্ররাজি তার মন খারাপের গোপন সঙ্গী। চাকরির চরিত্র পরিস্কার হতেই একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে মাথার ভেতর।মা-বাবা-দিদিদের মুখ গুলো চোখের সামনে এসে ভিড় করে। চাকরির সংবাদে যেভাবে সবার মুখমণ্ডল আলোকিত হয়েছে, আশাহত বাবা-মা পূর্ণ দৃষ্টিতে আশার দীপ্তি মেলে যেভাবে তাকিয়েছে, চাকরি ছেড়ে দিলে নিমেষে সব শেষ হয়ে যাবে। জীবন দীপ নিভে যাবে একে একে।খোলা আকাশে নিবদ্ধ দৃষ্টিতে কেমন যেন একটা সব হারানো ঔদাসীন্য জড়িয়ে আছে। জীবন কেমন জটিল হতে পারে এতদিন জানা ছিল না। চিন্তার ভার বইতে না পেরে মাথা-কপাল যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে। এলোমেলো বাতাস নরম স্পর্শ দিলেও স্যমন্তকের শরীর আর মন যেন তা গ্রহণ করতে পারছে না। হঠাৎই মনে পড়ে বহুকাল আগের ঠাম্মার গ্রামের বাড়ির লখাই বাউলের কথা যে বাউল দর্শনের কথা বোঝাতে গিয়ে দেহতত্ত্ব বুঝিয়ে ছিল খুব সহজ ভাষায়।”কাম প্রবৃত্তি পাপ নয়।পাপ হলো কামকে ব্যবসা করে ফেলায়।কামাচার বা মিথুনাত্মক যোগসাধনাই হলো বাউল পদ্ধতি। মানবজন্ম শ্রেষ্ঠ জন্ম।মানবই পারে কামকে বা তার স্বরূপকে বুঝতে।নারী আমাদের সাধনা। জীবনের পাকে পাকে কত যে রহস্য তার অনুমান করা গেলেও তলিয়ে ভাবার মতো অতল শক্তি মনুষ্য সমাজের নেই। শিশু জন্মের পর নিষ্পাপ থাকে। কালে কালে ধুলো ,কাদা, পাঁক,নর্দমা, বিশুদ্ধ বাতাস একে একে সবই আছড়ে পড়ে। তার মধ্যে থেকেই মানুষ বেছে নেয় সে মানুষ হবে না অমানুষ।” স্যমন্তক সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের গ্রাসাচ্ছদনকে অগ্রাধিকার দিতে ভাগ্যের হাতেই নিজেকে সঁপে দেবে।।
প্রথম প্রথম নার্ভাস লাগলেও স্যমন্তক নিজেকে দ্রুত বুঝিয়ে নিয়েছিল।এগ্রিমেন্ট সাইন করা আছে, স্যালারি আর বোনাস ডে-টু-ডে ক্যাশে পাচ্ছে হাতে গরম, উপরি পাওনা হিসেবে আছে মালদার ক্লায়েন্টদের দেওয়া বহুমূল্য গিফট আর বিলাসবহুল আয়োজন, যা তার স্বপ্নাতীত।অল্প কয়েক দিনেই নিজেকে স্মার্ট, ঝকঝকে করে তুলেছিল এমনভাবে যে মহিলামহলে স্যমন্তকের বিশেষ চাহিদা গড়ে উঠেছিল।বাড়িতেও বেশি করে টাকার যোগান দিয়ে সুখের মুখ দেখাতে পারছিল।তবে শহুরে গ্ল্যামার, রোশনাইয়ের আড়ালেও যে এতো কান্না, দুঃখ, কষ্ট,বঞ্চনার গল্প লুকিয়ে থাকতে পারে জানা ছিল না আদ্যন্ত মফস্বলি ছেলেটির।সমাজের নানা স্তরের ধনী মহিলাদের সাথে পরিচয় গড়ে ওঠে।কে নেই তার ক্লায়েন্ট লিস্টে! নামী ব্যবসায়ীর স্ত্রী, অভিনেত্রী, শিল্পী, মডেল,অধ্যাপিকা প্রমূখ নানা ক্লাসের মহিলা যারা নাকি ফ্রাস্ট্রেটেড। এদের জীবন ধারা ভেতর থেকে মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতো স্যমন্তককে।প্রেম – ভালোবাসা – বিশ্বস্ততার কোনো মূল্যই নেই এদের মধ্যে। প্রেমহীন শারীরিক মিলনের জন্য জলের মতো টাকা খরচ করে! সেক্সুয়াল প্লেজার! এক ক্লায়েন্টের কাছে শোনা কথাগুলো নির্মম আঘাত হেনেছিল স্যমন্তকের হৃদয়ে।এদের সংজ্ঞা অনুসারে শিখেছিল “নো ইমোশনাল রিলেশনশিপ, জাস্ট এনজয় সেক্স।” এই জবটা না করলে স্যমন্তকের জানা হতো না প্রদীপের নিচের অন্ধকারের গল্পগুলো।আদতে দুঃখী বড়লোকেরা ইচ্ছে মতো খুশি কেনে পয়সা দিয়ে।।
স্যমন্তকের খুশির ব্যবস্থা ঠাম্মা করে গেছে।নাতির জন্য পাত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন অনাথিনী প্রতিবেশী, নাতির ছোটবেলায় খেলার সাথী,পেশায় শিক্ষিকা সায়ন্বিতাকে।শ্রাদ্ধ – শান্তি মিটতেই নিজেকে প্রস্তুত করে স্যমন্তক।সায়ন্বিতাকে ঠকাতে পারবে না কিছুতেই।সব বলবে।সারা জীবন মেয়েটা বিয়ের নামে তীব্র অনুশোচনায় দগ্ধ হবে – এ হতে দেওয়া যায় না। আশ্চর্য আজকের রাতটা! সায়ন্বিতাকে ডেকে পাঠিয়ে বাইরের দালানে এসে বসে স্যমন্তক।ফসল কাটা মাঠ থেকে থোকা থোকা জমাট বাঁধা কুয়াশা অশরীরীর মতো উঠে আসছে। মেঘমুক্ত আকাশের অজস্র নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে স্যমন্তকের মনে হয় প্রতিটি মানুষের উচিত একবার অন্তত প্রকৃতির সান্নিধ্যে সম্পূর্ণ একা হয়ে যাওয়া। সায়ন্বিতা পাশে এসে বসে।নিশ্চুপ।সময় দিচ্ছে। কথা বলার হলে নিজেই বলুক।সায়ন্বিতার কেন যেন মনে হচ্ছিল স্যমন্তক অবলম্বন খুঁজছে।নিঃশব্দে নিজের হাতখানি স্যমন্তকের হাতের উপর স্থাপন করে।সেই স্পর্শে কি ছিল কে জানে! স্যমন্তক অর্গলমুক্ত হয়।আত্মকথন শেষ করে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।স্যমন্তকের অন্তর্দহন বুঝতে ভুল হয় না একটুও ছোট্ট বেলার সাথীর, অথচ যার কথা বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছিল স্যমন্তকের। “রাতের অন্ধকার থেকে ভোরের সূত্রপাত হলেও তাকে কেউ মনে রাখে না।তুমি বসকে ফোন করে বলে দাও এই জবটা আর করবে না। আমাদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে এক্সক্লুসিভ শাড়ি আর জুয়েলারির ব্যবসা করবো আমরা।জয়েন্ট ভেঞ্চার হবে। বিভিন্ন স্টেট থেকে ইমপোর্ট করবো, ডিজাইনার রাখবো।প্রফিট হবেই।আমি আছি তো তোমার সঙ্গে। ক্ষয় স্যমন্তক। সমাজের শরীরে যে এতো ক্ষয় এতো ক্ষতস্থান থাকতে পারে তা তো আর জানা ছিল না তোমার। জানা হলো। এবার ক্ষয় থেকে অক্ষয় হতে পদক্ষেপ করো আমার হাত ধরে। ছোটবেলার লখাই দাদার কথা মনে আছে তোমার? আমি হবো তোমার নতুন জীবনের সাধন সঙ্গী।আমার এতো গুলো বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মর্যাদা দাও ভালোবাসাকে।” চমক লাগে।এক লহমায় সব কিছু নস্যাৎ করে দেওয়া, এতোখানি দৃঢ়তার পরিচয় দেওয়া মেয়েটাকে প্রবল ভাবে আঁকড়ে ধরতে মন চায়।চোরাবালিতে হারিয়ে যেতে বসা ছেলেটাকে অনায়াসেই শক্ত ভিতের সন্ধান দিলো সায়ন্বিতা।।
গভীর দৃষ্টিতে স্যমন্তক অপলক তাকিয়ে থাকে সায়ন্বিতার দিকে। মেয়েটার দুচোখে লজ্জা মিশ্রিত বিহ্বলতা।দূর থেকে ভোরের আজানের শব্দ ভেসে আসে। রাত ও ভোরের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে স্যমন্তক অনুভব করে এ যেন তার জীবনেরও চরম সন্ধিক্ষণ।অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার পথটি দৃশ্যমান।সোনালী সূর্যের রশ্মিজালে মুগ্ধ হয় দুটি হৃদয়।বিশুদ্ধ অন্তরাত্মার অধিকারী মানুষ দুজন পরস্পরের আলিঙ্গনে আবদ্ধ। বিমূর্ত রূপের অপূর্ব এক সন্ধিক্ষণ।।
Facebook Comments