সৈকত বসু
এরিক কাতোনা , রায়ান গিগস , আলফ্রেডো ডি স্টেফানো , জর্জ উইয়া – হ্যাঁ এদের সবার নামই আমরা জানি। কিন্তু মিলটা কোথায় জানেন? এই বিশ্ব বিখ্যাত ফুটবলার দের একজনও কিন্তু বিশ্ব কাপ খেলেননি। এরকম খেলোয়াড়-এর সংখ্যা খুব একটা কম নয়. কিন্তু আজ যার কথা বলবো, সে ছিল এই দলে সর্বশ্রেষ্ঠ আর হয়তো বিশ্ব ফুটবল এর সবথেকে বর্ণময় এবং বিতর্কিত চরিত্র। এর ফুটবল উৎকর্ষে মোহিত হয়ে ইংল্যান্ডের তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী যেমন নিয়মিত ফ্যান মেইল পাঠাতেন, আবার তেমনি এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী র সাথে উইকেন্ড-এ সময় কাটাতে গিয়ে টীম-এর সাথে যাবার ট্রেন মিস করে ২ সপ্তাহ সাসপেন্ডও থাকেন।
জন্ম ২২ এ মে , ১৯৪৬ – ইস্ট বেলফাস্ট এর ক্রেগঘ শহরে। অ্যান আর রিচার্ড এর প্রথম সন্তান আর পরে ৪ বোন ও আর এক ভাই। পড়াশুনায় বেশ ভালো এটা বলা ছাড়া তেমন কোনো বিশেষ ঘটনা ছেলেবেলায় ঘটেনি। ঘটল ১৫ বছর বয়েস এ এসে – ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাব এর স্কাউট বব বিশপ এর চোখে পড়লো স্কুল এ বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলা একটি ছেলেকে। জহুরির চোখ – তাই সোজা চিঠি চলে গেলো তৎকালীন ক্লাব কোচ ম্যাট বুসবি র কাছে “আই থিংক আই হ্যাভ ফাউন্ড ইউ এ জিনিয়াস। ” প্রসঙ্গত বলে রাখি এই ম্যাট বুসবি কে ক্লাব ফুটবল এর এক অন্যতম সেরা ও সফল কোচ হিসাবে ধরা হয়। এরই হাতে গড়া একঝাঁক তরুনের দল দাপিয়ে বেরিয়েছিল ১৯৫৫ – ১৯৫৭ র ইংল্যান্ড ক্লাব ফুটবল। এদের গড় বয়েস ছিল ২২ আর এরাই সেই বিখ্যাত বুসবি babes যাদের মধ্যে ৮ জন ১৯৫৮ র কুখ্যাত মিউনিখ এয়ার ডিসাস্টার-এ প্রাণ হারায়। সে গল্প না হয় অন্য সময় হবে। ফিরে আসি সেই ছেলেটির কথায়|
যদিও কদিন আগে ছেলেটির লোকাল ক্লাব গ্লেনতোরণ তাকে বাতিল করেছে ছোট এবং অপুষ্ট বলে, কিন্তু ভাগ্যদেবতার ইচ্ছা তো ছিল অন্য – তাই এক ট্রায়াল এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর চিফ স্কাউট জো আর্মস্ট্রং কিন্তু ভুল করেননি। এর পর দু বছর ধরে চললো ঘষা মাজার কাজ। তখনো ইংল্যান্ড এর ক্লাব গুলোতে নর্থ আইরিশ কাউকে শিক্ষানবিশ নেওয়া যেত না – তাই বের করা হলো অন্য রাস্তা। ম্যানচেস্টার শিপ ক্যানেল এ চাকরি আর সপ্তাহে দুদিন অপেশাদার এক প্লেয়ার হিসাবে ক্লাব এ ট্রেনিং এর সুযোগ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৩, প্রথম আত্মপ্রকাশ ওল্ড ট্রাফোর্ড এ – প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ব্রমউইচ আলবিওন। যদিও নজরকাড়া তেমন কিছু পারলো না ছেলেটি আর তারপরে বেশ কিছুদিন সাইড লাইন এ অপেক্ষা। আবার সুযোগ এলো ২৮ এ ডিসেম্বর বার্নলির বিরুদ্ধে। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই ম্যাচ-এ নিজের প্রথম গোল – এরপর বাকি পুরো সেসন-এ টীম এ – বছর শেষ এ মোট ২৬ টা ম্যাচ আর ৬টা গোল। ওই বছর এ প্রথম ট্রফির স্বাদও পেয়ে গেলো ছেলেটি – এফ এ ইয়ুথ কাপ – ১৯৫৮ র ভয়ন্কর মিউনিখ এয়ার ডিজাস্টার এর পরে সেই প্রথম ইয়ুথ কাপ জয় ক্লাব এর।
এর পরের কিছু বছর যেন কিছুটা রূপকথা আর কিছুটা সিনেমা র মিশেল। ১৯৬৪-৬৫ তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর হয়ে লীগ খেতাব, ১৯৬৬ তে ইউরোপিয়ান কাপ এর কোয়ার্টার ফাইনাল এ বেনফিকা র বিরুদ্ধে ২ গোল করে মাত্র ১৯ বছর বয়েস এ ফুটবল এর সুপারস্টার হয়ে ওঠা (এই ম্যাচ এ র দুরন্ত পারফরমেন্স এর পরে ই পর্তুগিজে র মিডিয়া নামকরণ করে দি ফিফ্থ বিটল), ১৯৬৬ – ৬৭ তে আবার ম্যানচেস্টার এর হয়ে লীগ খেতাব, ১৯৬৭-৬৮ র ইউরোপিয়ান খেতাব জয়। ছেলেটির জীবন তখন যেন তার পাওয়া নাম এর এ সমার্থক – রক ব্যান্ড এর মতো ই গতিময় জীবন আর সবকিছুতে সাফল্য। ১৯৬৮ তেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের অফ দি ইয়ার পুরস্কার (যেটা ইদানিং আমরা Ballon D’Or নামে চিনি) – কাদের পিছনে ফেলে জানেন – হ্যাঁ ঠিক ই পড়ছেন – ববি চার্লটন আর বেকেনবায়ার। সুতরাং বুঝতে এ পারছেন এ ছেলের প্রতিভা যে অন্য জাতের তাতে ফুটবল দুনিয়ার কোনো সন্দেহ রইল না – আর হ্যাঁ এই সেই প্রথম প্লেয়ার যে কিন্তু মাত্র ২২ বছর বয়েস এ ইউরোপ এর ফুটবল এর সর্বশ্রেষ্ঠ তিন তিনটি খেতাব ঘর এ সাজিয়ে ফেলেছে – লীগ খেতাব, ইউরোপিয়ান কাপ আর অবশ্যই ইউরোপের এর সর্বশ্রেষ্ঠ প্লেয়ার এর ট্রফি।
-2-
কিন্তু ভাগ্যদেবী র খেলা যে কোনদিক এ জীবন কে নিয়ে যায় তার কোনো ইয়ত্তা নেই – আর সর্বোপরি মাত্র ১৯ বছর বয়েস থেকে সর্বক্ষণ প্রচার এর আলো, পা হড়কাতে সময় লাগে না অনেকসময় আর এই ক্ষেত্রে তো আরও ই লাগলো না। রাজপুত্রের মতো চেহারা – খ্যাতির চূড়ায় – পয়সা র জোয়ার – মদ আর নারী সঙ্গ তে ডুবে যেতে সময় লাগলো খ্যাতি অর্জন করার সময় এর থেকে ও কম। আর তারপরে যা সাধারণত হয়ে থাকে তেমন এ হতে লাগলো – দ্রুত পড়তে থাকলো খেলার মান। যদিও এর মধ্যে ১৯৭০ সালে northhamton টাউন এর সাথে এফ এ কাপ এর খেলায় ম্যানচেস্টার জিতলো ৮ – ২ গোল এ যার মধ্যে ছেলেটির একার এ ৬ টি গোল। এই ঘটনাটি একটু বেশি ই উল্লেখযোগ্য নানান কারণে। নিজের ৬ নম্বর গোল টি র সময় শরীর এর মোচড় এ গোলকীপার কে সম্পূর্ণ উল্টো দিকে ঝাঁপাতে বাধ্য করে প্রায় হেটে হেটে বল জাল এ পাঠায় ছেলেটি – এই ঘটনাটি নিয়ে বহুদিন পর্যন্ত গোলকীপার কিম বুক কে যথেষ্ট টিকা টিপ্পনি শুনতে হয়েছে। আজকের দিন হলে meme এ ভরে যেত যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া। কিম নিজে ই এক সাক্ষাৎকার এ পরে বলেছিলেন – “এটা তো একটা জোক তার পর থেকে ই। আমি রাস্তার এক দিকে দাঁড়িয়ে – উল্টো দিক থেকে ও আমার দিকে মাথা নাড়লো। আর আমি বাস এর তলায় ঝাঁপ দিলাম।” এই ঘটনা তা ই ইংল্যান্ড এর চ্যানেল ৪ এর ভোট এ বিশ্বের সর্বকালে এর সেরা ১০০ ক্রীড়া মুহূর্তের মধ্যে ২৬ নম্বর। আর এই পারফরমেন্স এর পরে ই ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আসে নিমন্ত্রণ। জানেন তো বটে ই যে এটা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান – আর এই প্রধানমন্ত্রীর কথা তো আগে এ বলেছি – হ্যারল্ড উইলসন যিনি নিয়মিত ফ্যান মেইল লিখতেন ছেলেটির খেলায় মোহিত হয়ে।
কিন্তু দিন এর পর দিন ঘটনাবহুল হতে থাকলো মাঠ এর বাইরের জীবন। আইরিশ স্টেজ , টেলিভিশন এবং ফিল্ম অভিনেত্রী সিনেড কুসাক এর সাথে উইকেন্ড কাটাতে গিয়ে টীম এর সাথে যাবার ট্রেন মিস করা, ১৯৭১ এর মিস গ্রেট ব্রিটেন ক্যারোলিন মুর এর সাথে থাকার জন্য প্রায় গোটা সপ্তাহ ট্রেনিং এ না আসা – যা ই করে ছেলেটি সব এ তখন খবর। আরও মজার বিষয় যে এসব যত বাড়তে থাকে তত ই যেন প্রচার এর আলো ও বেড়ে চলে – ডাক পরে বিখ্যাত টেলিভিশন শো দিস ইস ইওর লাইফ এ। কিছুটা কারণ যদি হয় কুট কচালি র প্রতি মানুষ এর চিরকাল এর টান – এর পিছনে এটা ও আর একটা সত্যি যে রাতভর পার্টি করে, আকণ্ঠ মদ্যপান করে ও পরে র দিন মাঠে নেমে হ্যাটট্রিক (১৯৭১-৭২ এ ওয়েস্ট হ্যাম আর সাউথহ্যাম্পটন এর বিরুদ্ধে), একাধিক বিপক্ষ প্লেয়ার কে একক দক্ষতায় কাটিয়ে গোল (১৯৭১ এ ই শেফফিল্ড ইউনাইটেড এর বিরুদ্ধে। ) কিন্তু বোহেমিয়ান জীবন এর খারাপ প্রভাব দিন এর পর দিন বাড়তে ই থাকে খেলার উপর এ আর তার এ ফলস্বরূপ ১৯৭৪ এর ১ জানুয়ারী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর হয়ে শেষ ম্যাচ যাতে টীম হারে ৩ – ০ গোল এ।
এই ১৯৭৪ সালে ই স্বল্পকদিন এর পরিচয় মার্জোরি Walace এর সাথে যিনি সদ্য মিস ওয়ার্ল্ড হয়েছেন। ঠিক ২ টো রাত মার্জোরি র লন্ডন এপার্টমেন্ট এ কাটানোর পর ম্যানচেস্টার এ ফিরতে ই পুলিশ এর আগমন আর গ্রেফতার – চুরির অভিযোগ কারণ এর যাওয়ার পর থেকে ই মার্জোরি র ফ্লাট থেকে হাওয়া নাকি একটি দামি ফার এর কোট, কিছু গয়নাগাটি, চেক বই সহ হ্যান্ডব্যাগ, মার্জোরি র পাসপোর্ট আর নাকি কিছু মদ এর বোতল ও। যদিও পরে কোর্টে এই সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি হয় কিন্তু ঘটনাটি ইংল্যান্ড এর ফুটবল ফ্যান এ রা কিন্তু ভালো ভাবে নেয়নি। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৪, ফুটবল জীবন এর বাকি দশ টা বছর কেটে গেলো নানান ক্লাব এ ঘুরে – মোটামুটি কোনো ক্লাব ই তাকে রাখেনি এক বছর এর বেশি আর ঘুরতে হলো সাউথ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড, আমেরিকা, হং কং। বাদ গেলো না ইংল্যান্ড এর তৃতীয় এবং চতুর্থ ডিভিশন ক্লাব এমনকি এক স্কটিশ ক্লাব এর সাথে ম্যাচ প্রতি পয়সা র চুক্তি ও। যেটা বদলালো না সেটা নারীসঙ্গ এবং আরো বেশি বেশি মদ্যপান। বিশেষ টান ছিল সুন্দরী মডেল দের প্রতি। একবার বলে বসলেন “আই গো মিসিং এ লট – মিস কানাডা, মিস ইউ কে, মিস ওয়ার্ল্ড। ” সুন্দরী দের আকর্ষণ করার নিজের ক্ষমতা র প্রতি গর্ব ও ছিল বেশ দেখার মতন – তাই কোনো এক ইন্টারভিউ তে বলেছিলেন ” লোকে বলে আমি নাকি ৭ জন মিস ওয়ার্ল্ড এর সাথে রাত্রি যাপন করেছি – এটা ভুল – আসলে সংখ্যা টা ৪, বাকি তিন জন এর সাথে ডেট ঠিক করে ও আমি আর দেখা করতে যাইনি। “
এইরকম বেহিসাবি জীবনযাপন এর জন্য ব্যক্তিগত জীবন এ কোনোদিন এ তেমন থিতু হতে পারেননি। ১৯৭৮ এ বিয়ে করেন একবার যার পরে ১৯৮১ তে পুত্র সন্তান এর জন্ম। কিন্তু ১৯৮২ তে ই আলাদা থাকা শুরু আর তারপরে ১৯৮৫ তে ডিভোর্স। এর বহু পরে ১৯৯৫ সালে নিজের থেকে ২৭ বছর এর ছোট আলেক্স পার্সি কে বিয়ে করেন। ২০০৫ এ আবার ডিভোর্স আর এবার মারধর এর ও অভিযোগ।
অতিরিক্ত মদ্যপান এ লিভার খারাপ হয়ে ই চলছিল আর ছিল আনুসাঙ্গিক ঝামেলা ও – মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর জন্য ৩ মাস এর জেল, বিবিসি র এক চ্যাট শো তে চূড়ান্ত মাতলামি করে বাকসংযম হারানো, এমনকি আমেরিকা তে থাকাকালীন এক বার এ অপরিচিত মহিলা ব্যাগ থেকে টাকা চুরি কিছু ই বাদ যায়নি। ২০০০ সাল এ এসে লিভার এর কার্যক্ষমত এসে দাঁড়ায় মাত্র ২০% তে – ২০০২ তে লিভার ট্রান্সপ্লাটেশন এবং মৃত্যমুখ থেকে ফিরে আসা। যদিও বড় ই ক্ষণস্থায়ী ছিল এই সুস্থতা কারণ ২০০৩ থেকে আবার মদ্যপান শুরু আর ২০০৫ এর ২৫ এ নভেম্বর জন্ডিস, ফুসফুস এ সংক্রমণ এবং শরীর এর একাধিক অঙ্গ অচল হয়ে মাত্র ৫৯ বছর বয়েস এ মৃত্যু।
নিজের ফুটবল ক্ষমতা নিয়ে গর্বিত ছিলেন যথেষ্ট এবং পছন্দ অপছন্দ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে কোনোদিন ই দ্বিধা করেননি। প্রচুর লোক এর বিরাগভাজন হতে হবে জেনে ও ডেভিড বেকহ্যাম সমন্ধে বলেছিলেন “ওর শুধু বাঁ পা টা অচল, ও ঠিক করে হেড আর ট্যাকল করতে পারে না আর বেশি গোল করতে পারে না – এছাড়া বাকি সব ই ঠিক। ” আবার ইনি ই ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো কে তার সাথে তুলনা করা হলে উচ্ছসিত হয়ে বলে ফেলেন “আজ পর্যন্ত অনেক ফুটবলার কে ই তো আমার সাথে তুলনা করা হলো – কিন্তু এই প্রথম মনে হচ্ছে আমার প্রশাংসা করা হচ্ছে।”
বোহেমিয়ান জীবন নিয়ে ও কেয়ার করেননি তেমন, আগে তাই কখন ও মদ্যপান ছেড়ে দিতে বললে রসিকতা করে বলতেন “আমি কেবল ঘুমানোর সময় মদ ছেড়ে দি ” আবার কখন ও কেউ তার জীবন যাপন নিয়ে সাবধান করতে গেলে তাকে হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলতেন “১৯৬৯ সালে আমি একবার নারীসঙ্গ আর মদ দুটো ই ছেড়ে দিয়েছিলাম – ওটা আমার জীবন এর সবথেকে খারাপ ২০ মিনিট।” যদিও মৃত্যুর ঠিক ৫ দিন আগে এক ব্রিটিশ পত্রিকা কে নিজে ই অনুরোধ করে নিজের ভগ্নপ্রায় শরীর এর ছবি দিয়ে মদ্যপান কত খারাপ তার সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছিলেন “আমার মতো করে মৃত্যবরণ কোরো না। ” আশা ছিল “আমি যখন চলে যাবো সবাই সব খারাপ ঘটনা গুলো ভুলে যাবে আর মনে রাখবে শুধু ফুটবল। যদি একজন মানুষ ও মনে রাখে যে আমি ছিলাম বিশ্বে র সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার তাহলে ই আমার জীবন সার্থক।” হ্যাঁ সেই আশা কিন্তু পূর্ণ হয়েছে। ফুটবল এর সম্রাট স্বয়ং পেলে তাকে বলেছেন বিশ্বের সর্বকালে র সেরা ফুটবলের, ফুটবল এর রাজপুত্র মারাদোনা জানিয়েছিলেন কিভাবে ছোটবেলায় এর খেলা দেখে ই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনি – ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর নিজস্ব স্টেডিয়াম ওল্ড ট্রাফোর্ড এর বাইরে ডেনিস ল আর ববি চার্লটন এর পাশে ইনি ই আজ ও দাঁড়িয়ে আছেন ইউনাইটেড ট্রিনিটি র তৃতিয় ব্যক্তি হিসাবে আর আজ ও ফুটবল বিশ্বের একটা বড় অংশ মনে করে “মারাদোনা গুড , পেলে বেটার কিন্তু জর্জ বেস্ট। “
Saikat khub sundor likhechis…
Sotti e football itihase George Best ek advut barnomoy choritro.. Ei projonmer anekei hoyto eto baro maper ekjon footballer ke sothik babe chene na ba tar protibha samporke abohito noy.. Sei jonnyo toke bisesh bhabe dhonyobad…
Arekta byapar! Belfast shohorer protiti konay Konay kintu George Best aajo mishe royeche… Titanic tairir itihas chara aar kono kichu jodi ei shohortake prithibir maanchitre sobcheye beshi jonopriyota diye thake tini George Best..Aar tai hoyto Northern Ireland er capital Belfast-ei prithibir ekmatro international airport royeche kono kingbodonti footballer naame!
Thanks a lot Suman. Your comment is inspiring and glad that you mentioned the airport story. This was an important fact. Keep reading and will expect some article from you to enrich our next magazine.
Nice 🙂 Aro likho dada !
Racy like a good thriller. Enjoyed it immensely!
Bhalo likhechish jodio amar football er gayn khub kom tao bhalo lagglo lekhata pore👍