Site Overlay

সম্পাদকীয় (অক্টোবর, ২০২১)

ত্রৈমাসিক পত্রিকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম সে প্রতিশ্রুতি রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোলমালটা ঠিক কোথায় সেটা বোঝাও যাচ্ছে। প্রত্যেকবারই আমরা চেষ্টা করি যাতে পত্রিকার সাথে আমাদের শ্রুতি নাটকটিও প্রকাশিত হয়। সেখানেই গোলযোগের সূত্রপাত। নানা কারণে নাটকটি সময়মত শেষ হয়না এবং তার প্রকাশকালের সাথে বাঁধা থাকায় পত্রিকার প্রকাশেও দেরি হয়ে যায়। এবার এই বাঁধন ছিঁড়ে ফেলা গেল। নাটক প্রকাশিত হোক যখন তার সময়সাপেক্ষ রকমারি আয়োজন সম্পন্ন হবে, কিন্তু পত্রিকা চলুক তার নিজের গতিতে। ত্রৈমাসিক? দেখাই যাক না, এখনও হাল ছাড়ছিনা।

গত কয়েক মাসে অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বকেই আমরা হারিয়েছি। খুব ভালো হত যদি সবাইকে নিয়েই কিছু লেখা আমরা দিতে পারতাম। সেটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু কবি শঙ্খ ঘোষের সাথে আলাপচারিতার অনন্য স্মৃতি পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে সুজয়া ধর। তেমনি কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই দৃশ্যে অভিনয়-এর কথা বলেছে সুলক্ষণা সাহা চক্রবর্তী। এই দুটি কাজ আমাদের এই সংখ্যায় একটি বিশেষ স্থান দাবি করে বলে আমার মনে হয়েছে। 

কয়েকটি দারুণ সৃষ্টি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছে অমৃতা পাল এবং সুজয়া ধর। ফটোগ্রাফি বিভাগে ওদের ছবিগুলি এবং সঙ্গের caption সত্যি অনেকদিন মনে থাকবে। এই বিভাগেই সৈকত চ্যাটার্জির তোলা প্রকৃতির আলো-আঁধারির ছবি মুগ্ধ করে। 

স্বাতী ভট্টাচার্যকে(শিলং) অনুরোধ করামাত্র ও লিখে দিয়েছে নতুন একটি কবিতা। ওর প্রতিভা মাঝে মাঝেই বিস্মিত করে আমায়।যোজনগন্ধা/কৃষ্ণকলি আমাদের এই পত্রিকার অন্যতম নিয়মিত লেখিকা, বরাবরের মতই এবারও আমাদের পত্রিকাকে সমৃদ্ধ করেছে ও। অভিযান ভট্টাচার্য্যর বড় গল্পটি খুবই প্রাসঙ্গিক এবং অভিনব। পিনাকী ঘোষ এবারেও আমাদের নিবেশ সংক্রান্ত একটি মূল্যবান লেখা উপহার দিয়েছে। এদের সবার সাথে বিশেষ একটি লেখা আমরা পেয়েছি আমাদের শ্রদ্ধেয় বাসুদেব স্যার-এর কাছে। স্যার-এর লেখা যেমন মনোগ্রাহী তেমনি জ্ঞানের দীপ্তিতে সমুজ্জ্বল। দেবযানী ভট্টাচার্য্যের গল্পটি বেশ এক্সপেরিমেন্টাল মনে হয়েছে আমার - এই লেখাগুলি পেতে বড় ভালো লাগে। আশা করি ওকে আগামী সংখ্যাগুলিতেও পাব। ব্রতীত দাস আমাদের পত্রিকার প্রচ্ছদটি তো এঁকেইছে, তার সাথে যে oil painting-টি পাঠিয়েছে তা তাক লাগানো। 

বাচ্চাদের ছবিগুলি দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। ওদের বাবামার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি।

আগেরবারের মত এবারও প্রকাশনার প্রযুক্তিগত ঝামেলা সামলিয়েছে মৃন্ময় ঘোষ। কয়েকটি লেখা সংগ্রহে সাহায্য করেছে অভিযান ভট্টাচার্য্য। আগেই বলেছি, পুজোর সময়টিকে ঘিরে সুন্দর প্রচ্ছদটি এঁকেছে ব্রতীত দাস। এদের সকলের কাছেই পত্রিকার তরফ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

পুজো খুব ভালো কাটুক, সকলে ভালো থাকুন এই কামনা করি। এই মুহূর্তে সময়ের কাছে এটুকুই প্রার্থনা। আশা করি খুব শিগগির আমরা স্বাভাবিকতায় ফিরতে পারবো।

-হাসান 

Facebook Comments