যোজনগন্ধা
সকাল থেকে মাইকে একটার পর একটা বেজে চলা রবীন্দ্র সংগীত বলে দিচ্ছে আজ পঁচিশে বৈশাখ। বিশ্বকবির জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও নীলাক্ষীর মনের মধ্যে আনন্দের জোয়ার এসেছে। এক মাস ধরে কি তুমুল রিহার্সাল! সারা পাড়ার লোকের মন জয় করার কি প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। ছোটদের নাচ, গান, আবৃত্তির পর ছেলেদের দলের নাটক আর মেয়েদের দলের নৃত্যনাট্য পরিবেশনই এদিনের সন্ধের সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ। মনি কাকুর পরিচালনায় ছেলেগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী অভিনয় করে। ওদিকে গার্গীদির আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেয়েরাও জীবন বাজি রেখে আসরে নামে। একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা চলে দুই দলের মধ্যে। গার্গীদির দলে আছে নাচ, গান, ভাষ্যপাঠের চার ওস্তাদ কারিগর – নীলাক্ষী, প্রিয়াঙ্কা, মৃদুলা আর টায়রা। পুরো দলের অলিখিত নেত্রী হলো সকলের প্রিয় পাত্রী নীলাক্ষী। পরিচালিকা তো চোখে হারায় এই চার মূর্তিকে। প্রতিবার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটা এরা জিতে যায় নিজেদের উজাড় করে দিয়ে। বছরভর পাড়ায় সকলের চোখে প্রশংসা প্রাপ্তির জন্যই এতো লড়াই। এবারেও খুব উত্তেজনা অনুভব করছে নীলাক্ষী। রবীন্দ্র সংগীত গুলো টেনে নিয়ে যেতে চাইছে স্টেজের কাছে। ঘরে বৌদির সাড়া পেয়েই উতলা নীলাক্ষী বলে ওঠে, “আজকে তো রবীন্দ্র জয়ন্তী। বৌমনি রেডি থাকবে। ঠিক সাতটায় চলে যাব। স্টেজের একদম সামনে বসে দেখব অনুষ্ঠান।” শ্রেষ্ঠার তরফে কোনো সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন স্বরে বলে, “কি হলো বৌমনি? যাব তো আমরা সন্ধেবেলা?” ভারী গলায় শ্রেষ্ঠার উত্তর আসে, “তোর তো যাওয়াও যা না যাওয়াও তাই নীলা। আমরাও কেউ আর যাব না রে। সেই মনটাই কারুর নেই। যেতাম তো তোর জন্য। তুইই যখন নেই সেখানে তখন গিয়ে কি হবে? ঐ ঘরে বসেই শুনব। না শুনলেও ক্ষতি কিছু নেই জানিস। তোকে নিয়ে গেলে আমরা সবাই দেখতে পাব। কিন্তু তুই তো পাবি না। উপরন্তু লোকজনের গায়ে পড়া সহানুভূতির বান সহ্য করতে হবে। কি দরকার? কেন যে ভগবান তোর চোখ দুটো এমন করে…” কথা অসম্পূর্ণ রেখে মুখে আঁচল চাপা দিয়ে ঘর থেকে ছুটে চলে যায় শ্রেষ্ঠা। নীলা যে শুধু তার ননদ নয়, অনেক বেশি বন্ধু।।
“অন্ধের কি বা দিন আর কিবা রাত!” বিড়বিড় করে নীলাক্ষী। জন্মের পর তার টানা টানা চোখ দুটোর নীলাভ মণি দেখেই হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বাবা জ্যোতিষ্কনারায়ণ নাম রেখে ছিলেন নীলাক্ষী। প্রবাদ বাক্যটা মনে মনে আওড়ায় নীলাক্ষী। বিরক্তি প্রকাশ করে নিজের উপরেই।”ধুসস এটা কি একটা কথার কথা নাকি! এ তো ঘোর বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার।” আবারও ভাবে যারা জন্মান্ধ তারা না হয় চিরকালই স্পর্শের দ্বারা জীবন কাটায়। দুচোখ ভরে বিপুলা পৃথিবীর কোনকিছুই উপভোগ করার সৌভাগ্য লাভ করে না। কিন্তু নীলাক্ষী তো আর জন্মান্ধ নয়! তবে তার সাথেই কেন এমন হলো! চোখের আলো নিভে গেলেও মনের আয়নায় ফুটে ওঠা প্রতিটি প্রতিচ্ছবি অতিমাত্রায় স্বচ্ছ। সুযোগ পেলেই অভিশপ্ত দিনটার ছবি গুলো ভেসে আসে মনের পর্দায় আর তার সাথে ফুটে ওঠে এক অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর, মুখোশধারী মানুষের অবয়ব।।
চাকরির পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনটা বাড়ির সকলে মিলে সেলিব্রেট করবে বলে ঠিক ছিল সেদিন। অফিস ছুটির পর কলিগদেরও একটা ট্রিট দেওয়ার কথা ছিল নীলাক্ষীর। একটু সেজেগুজে গিয়েছিল। প্রথম স্যালারির টাকায় কেনা পিওর সিল্ক শাড়িতে বেশ মোহময়ী লাগছিল ওকে। শীর্ষ সারাক্ষণ যেভাবে ওকে দেখছিল! সবাই সুযোগ পেয়ে বেশ লেগপুল করছিল। নীলাক্ষীও উপভোগ করছিল শীর্ষর নাকানিচোবানি খাওয়া। ঠিক ছিল রাতে বাড়ির অনুষ্ঠানে এসে সবার সামনে নিজেদের বিয়ের প্রস্তাব রাখবে শীর্ষ। গল্পে আড্ডায় কিছুটা দেরি হয়ে যাওয়ায় বাসের জন্য তাড়াহুড়ো করতে থাকে নীলাক্ষী। শীর্ষর বাস এসে যাওয়ায় ও চলেও গিয়েছিল। ভিড়ের জন্য পরপর দুটি বাস ছেড়েও দেয় নীলাক্ষী। এদিকে ঘড়ির কাঁটা রাত আটটার ঘরে। এবারের বাসটাতে বাদুড় ঝোলা অবস্থাতেই উঠে পড়ে কোনমতে পাদানিতে দাঁড়িয়ে ছিল নীলাক্ষী। অনেকেই বারণ করে ছিল। কিন্তু ওর তো বাড়ি ফেরার সত্যিই তাড়া। বেশ স্পিডেই চলছিল বাস। আচমকা ব্রেক কষায় হাত ছিটকে রাস্তায় পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছিল নীলাক্ষী। তারপর আর কিছু জানা নেই। জ্ঞান হয়ে শোনে পাঁচ দিন ধরে যমের সাথে লড়াই করে দৃষ্টিশূন্য হয়ে ফিরে এসেছে। একে কি আদৌ ফিরে আসা বলে! জানে না নীলাক্ষী। হাসপাতালের বিছানায় বসে থাকা অসহায় মেয়েটার প্রশ্ন গুলো বোবা দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে ওর নিজের কাছে। উত্তরহীন প্রতিটি মুহূর্ত কি ভীষণ যন্ত্রণাকাতর!!
নীলাক্ষীর জীবনের এতো বড় একটা বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে ভেঙে পড়ে ছিল পুরো পরিবার। চাকরি চলে গেল। শীর্ষ বদলে গেল। দূরত্ব গড়তে থাকল নানা অজুহাতে। দমবন্ধ হতে থাকা মেয়ের হাতটা সেই সময় শক্ত করে ধরে নিয়ে ছিলেন জ্যোতিষ্কনারায়ণ। রিটায়ার্ড মানুষটা মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মনের আয়না দিয়ে পৃথিবীকে নতুন করে চিনতে শেখালেন মেয়েকে। হাত-পা-মুখের সাহায্যে প্রায় আগের মতোই সব কিছু করতে শুরু করল নীলাক্ষী। ধীরে ধীরে ক্ষতে প্রলেপ পড়লেও মনের জ্বালা যে জুড়ায় না। থেকে থেকে শুধু শীর্ষর কথাই মনকে তোলপাড় করে। ভেতরে ভেতরে নীলাক্ষী অপেক্ষায় থাকে শীর্ষর ফিরে আসার। কিন্তু কোথায় কি! অফিস কলিগরা মাঝে মাঝেই ফোন করে খবর নিত। আর এভাবেই একদিন শীর্ষর বিয়ের খবর এলো। পুরোপুরি ভেঙে গেল নীলাক্ষী। এক বছর ধরে শুধুই শব্দ নির্ভর মেয়েটা মানুষের কথার শব্দ, পাখিদের শব্দ, বৃষ্টির শব্দ, মনের শব্দ আর নৈশব্দের জমাটবাঁধা শব্দ শোনে। এতদিন শীর্ষর কথা ভাবলেই শিহরণ জাগত। আজ আর সেই শিহরণ নেই। ওর বদলে অন্য কেউ শিহরিত হচ্ছে শীর্ষর স্পর্শে। কথাটা ভাবতেই চোখের কোল ভরে গেল। মনে পড়ে শ্রাবণের ঘনঘোর বর্ষায় ভিক্টোরিয়া চত্বরে গহীন প্রেমের ঘোরে মগ্ন ছিল দুজনে। একে অপরের বাহুডোরে মিলেমিশে একাকার হয়ে ছিল ভালোবাসার ঘন আবেশে। শ্রাবণ ধারাপাতে দুজনের ঠোঁটজোড়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যবধান ঘুচিয়েছিল। এতখানি ভালোবাসা একটা দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গেল!!
শীর্ষর নাম শুনলেই রাগে অগ্নিশর্মা হতেন জ্যোতিষ্কনারায়ণ। মনমরা নীলাক্ষীর জীবনে গান আর কবিতা ফিরিয়ে আনেন আবার। বাবা-মেয়ের যুগলবন্দী প্রতি সন্ধ্যায় দোতলার ঘরখানাকে মুখরিত করে তোলে। বাড়ির থমথমে পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু রাতের নিস্তব্ধতায় পিতৃহৃদয় আলোড়িত হয়। নীলাক্ষীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনতে মেয়েকে নিয়ে শহরের সমস্ত ডাক্তারের কাছে ছুটে যেতে থাকেন। আশার আলো না দেখতে পেলেও নৈরাশ্যের কোনো স্থান ছিল না তাদের কাছে। এরই মধ্যে একদিন হঠাৎ সংবাদপত্রে দূরদর্শনের জন্যে গানের প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন দেখে নীলাক্ষীকে নিয়ে হাজির হয়ে যান জ্যোতিষ্কনারায়ণ।কি আশ্চর্য নীলা নির্বাচিত। এবার ভাগ্যলক্ষী তার সহায় হলেন। তিন মাস ধরে একটার পর একটা রাউন্ড পার হয়ে অবশেষে নীলার সামনে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জনের হাতছানি। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান পেলেও নীলাক্ষীর জন্য উদ্যোক্তাদের তরফে বিরাট চমক ছিল। যে বিখ্যাত স্বর্নবিপণি সমগ্র অনুষ্ঠানের মূল স্পনসর, তাদের উত্তরসূরী তথা অনুষ্ঠানের চিফ গেস্ট লন্ডন নিবাসী চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নীলাব্জ সেন ব্যাঙ্গোলোরে নিজের হাসপাতালে নীলাক্ষীর চোখের চিকিৎসা করবেন। সবাই নতুন আশায় বুক বেঁধে তৈরি হলেও নীলাক্ষীর মনে অজানা আশংকা, অজস্র দোলাচল। অনেক ভেবে ফোনটা করেই বসে। “ডক্টর সেন সত্যিই কি আমার দৃষ্টি ফিরে আসবে? না এলেও কোনো ক্ষতি নেই জানেন। আমি সবটাই মেনে আর মানিয়ে নিতে পেরেছি। কিন্তু আমার পরিবারের মাঝে যে আনন্দের জোয়ার আপনি জাগিয়ে তুলেছেন তা যেন ধূলিসাৎ না হয়ে যায়। পেশেন্ট বলে আমায় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবেন না প্লিজ ডক্টর সেন।” একটানা কথা গুলো বলে থামে নীলাক্ষী। অপরদিক থেকে ভরসা যোগানো একটা স্বর ফোটে, “ম্যাডাম, আপনার কেস স্টাডি করে, আই ব্যাঙ্কের ডেটা নিয়ে, আপনার বাবার সাথে সমস্ত আলোচনা করেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।নিশ্চিন্ত থাকুন।মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এককাঁড়ি টাকা হাতানো আমার উদ্দেশ্য নয়। একবার ভরসা করুন। ব্যর্থ হবেন না। বিশ্বাস করুন ম্যাডাম রাতের অন্ধকারের দুঃস্বপ্নেরা দিনের আলোর ছোঁয়া পেলেই দূরে সরে গিয়ে আকারহীন, অলীক, অবাস্তব রূপ নেবে। আপনার নীলাক্ষী নামের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে আমি বদ্ধপরিকর।” আর কোনো কথা হয়নি সেই রাতে।তবে কথা হতো প্রতি রাতে। নীলাব্জর কাউন্সেলিং-এ নীলাক্ষীর হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস আবারও ফিরে আসতে থাকে।।
ডাক্তারের নির্দেশে চোখ দুটো আস্তে আস্তে খোলার পর আলো সহ্য হতে যেটুকু সময় লাগে নীলাক্ষীর, তারপরই স্পষ্ট দেখল লম্বা, শ্যামলা, একমাথা ঝাঁকড়া চুলের বেশ একটা ভরসাযোগ্য চেহারার তরুণকে যার ঠোঁটে চিলতে হাসি ফুটে আছে। হালকা গলায় প্রশ্ন এলো, “কি ম্যাডাম প্রথমেই আমার মুখটা দেখতে হলো তো?” চেহারা প্রথমবার দেখলেও স্বর চিনতে ভুল হয় না নীলাক্ষীর। মৃদু কন্ঠে বলে, “দেবদর্শন হলো।” মুহূর্তে অপ্রস্তুত নীলাব্জ জ্যোতিষ্কনারায়ণকে ডেকে আনে। বাবার চোখে মুখে গভীর প্রশান্তির চিহ্ন দেখে পলকে নীলাক্ষীও ভারমুক্ত। মেয়ের মাথায় স্নেহের পরশ রাখেন প্রবীণ মানুষটা। দুজনেই টের পায় অদ্ভুত একটা মাতাল করা সুগন্ধে কেবিন ভরে আছে। ঔৎসুক্য নিরাশনে কেবিনের জানলাটা জ্যোতিষ্কনারায়ণ খুলে দিতেই বাবা-মেয়ের অবাক হওয়ার পালা। ব্যাঙ্গোলোরের মাটিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একজোড়া ছাতিম গাছ। ছাতার মতো ঝাঁকড়া গাছটায় ঝেঁপে ফুল এসেছে আর থোকা থোকা পাতার ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে পূর্ণচন্দ্রকে। বাইরের পৃথিবী মিষ্টি চাঁদের আলোয় ভরে আছে। আজ সব কিছুই ভীষণ ভীষণ ভালো লাগছে নীলাক্ষীর।।
“বেস্ট প্লে ব্যাক সিঙ্গার”- এর ট্রফিটা নিয়ে দাদা-বৌদির সাথে হৈহৈ করে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করে জোর হোঁচট খেল নীলাক্ষী। বাবা-মায়ের মুখোমুখি বসে আছে শীর্ষ। এতদিন পর কি চায়! ভাষা যোগায় না নীলাক্ষীর। স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে শীর্ষর দিকে। একান্তে কথা বলতে চায় নীলাক্ষীর সাথে! কি বলবে! এই প্রথম বাবার অনীহাকে অগ্রাহ্য করে নীলাক্ষী শীর্ষকে বক্তব্য রাখতে বলল সকলের সামনে। শীর্ষর কথা সবাই শুনলেও নীলা যেন কিছুই শুনতে পাচ্ছে না। শীর্ষ বলে চলেছে, ” মানুষের মন এক অদ্ভুত জিনিস জানো নীলা। তোমার নামটা এতদিন বাদেও আমার মনের মধ্যে গাঁথা আছে। ডিভোর্সের পর বুঝলাম তুমিই আমার প্রথম ক্রাশ। বিয়েটাই ভুল ছিল। নিষিদ্ধ আকর্ষণের মতো অনেকবার মনে হয়েছে তোমাকে ফোন করি, কথা বলি। তারপর ভাবলাম তোমার সামনে এসে দাঁড়ালেই সব কিছুর অবসান হবে। আবার আমরা এক..” শীর্ষকে অসমাপ্ত রেখে নীলাক্ষীর স্বর ভেসে আসে, “সব কিছুরই অবসান হয়েছে শীর্ষ। তুমি চলে যাও। আমাকে লন্ডনে একটা ফোন করতে হবে।” নিজের ঘরের দিকে এগোতে থাকা নীলাক্ষী দেখতে পায় না সন্তান গর্বে গর্বিত বাবা-মায়ের হাসিমুখ, নিশ্চিন্ত আর হাস্যোজ্জ্বল দাদা-বৌদির মুখগুলো আর অন্ধকারে ডুবে যাওয়া শীর্ষর মুখ। তার এখন একটাই চিন্তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফোনটা করতে হবে। তার মেন্টর নীলাব্জ অপেক্ষায় আছে। তিন বছর বন্ধুত্বের পর গতকালই প্রশ্নটা করে ছিল নীলাব্জ। “সারাজীবন আমাকে শাসন করার দায়িত্ব নেবে নীলাক্ষী?” ফর্ম্যাল প্রপোজ নয়, ভালোবাসি বলা নয়, তবুও অনেক কিছু বলা হয়ে গেল যেন! উত্তরটা দেওয়া হয়নি। এবার দিতেই হবে। হোক না লন্ডনে এখন দিন, হোক না ব্যস্ত ডাক্তার, তবু নীলাক্ষী ফোন করে এখনই বলবে। বলবে, “সারাজীবন আমার জ্বালাতন সহ্য করার দায়িত্ব নেবে নীলাব্জ?”
Facebook Comments