আমাদের ৯৫-ক্যানভাস এর দ্বিতীয় সংখ্যাটি প্রকাশ করতে একটু দেরি হলো। ইচ্ছে ছিল জানুয়ারীতে প্রকাশ করার। কিন্তু নানা কারণে হয়ে উঠলোনা। আর ঈষৎ দেরি যখন হয়েই গেলো তখন ২১শে ফেব্রুয়ারীতে প্রকাশ করার লোভই বা সামলাই কি করে!
আসলে আমাদের শ্রুতিনাটকটি তৈরী করতেই দেরি হলো। নাটকটি দীর্ঘ, অনেকগুলি চরিত্র। সংলাপগুলো গোছাতেই সময় লাগলো বেশ। কিন্তু সব ভালো যার শেষ ভালো। অবশেষে নাটকটির রূপায়ণ সম্পূর্ণ হয়েছে। কতটা ভালো বা খারাপ হয়েছে এবার বোঝা যাবে। হাহা।
গত সংখ্যা যখন প্রকাশিত হয়েছিল তখন মহামারীর ভয়াবহতার মাঝেই আমরা আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। এই মুহূর্তে সেই ভয়ঙ্কর সময় কিছুটা হলেও পেরিয়ে এসেছি বলে মনে আশা জাগছে। তবু এরই মাঝে আমরা অনেককেই হারিয়েছি। প্রিয়জনের চলে যাওয়ার সাথে পৃথিবীতে অন্য কোনো শোকের তো তুলনা করা যায়না, তাই যারা চলে গেছেন তাদের জন্য কোনো শোক জ্ঞাপনই যথেষ্ট হবে না। তবু আজ তাদের স্মরণ করি আরও এক বার। তাঁরা আমাদের সাথে রয়েছেন কোনো না কোনো ভাবে, মন শুধু এই বিশ্বাস নিয়েই বাঁচতে চায়।
একটা বিষয় ছোট করে ছুঁয়ে শেষ করতে চাই। ৯৫ ক্যানভাসের এই পত্রিকাটি কিন্তু কোনো স্কুল-বিশেষে আবদ্ধ নয়। বারাসাত এবং মধ্যমগ্রামের সব কটি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরাই কিন্তু অংশ নিতে পারেন!
এই সংখ্যাতেও কয়েকজনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতেই হয়। অভিযান ভট্টাচার্য এবং মৃন্ময় ঘোষ দুজনেই অনেকগুলি লেখা সংগ্রহ করেছে এই সংখ্যার জন্য। পত্রিকার যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি চোখের আড়ালে থাকে সেগুলি গভীর নিষ্ঠার সাথে করেছে মৃন্ময়। আমাদের নাটকটির রূপদানের সময় নানা মূল্যৱান পরামর্শ দিয়েছে সুজয়া ধর, তনুশ্রী ব্যানার্জী, অর্পিতা মিত্র, পার্থপ্রতিম মন্ডল ও অভিযান। ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষ্যে অপূর্ব গান গেয়েছে বারাসাতের স্বাতী ভট্টাচার্য। আর প্রত্যেকবারের মতো প্রসূন চক্রবর্তী এঁকেছে আমাদের পত্রিকার প্রচ্ছদ এবং নাটকের চিত্র।তার অন্যান্য ছবিগুলির মতো এই ছবিগুলিও এক-একটি স্বার্থক শিল্প।
অপরিসীম কর্ম ব্যস্ততার মধ্যেও এই ভালোলাগার বারান্দাটিকে ফুলে-ফুলে সাজিয়ে তোলার জন্য পত্রিকার পক্ষ থেকে গভীর ভালোবাসা জানাই এদের সকলকে।
– হাসান
Facebook Comments