Site Overlay

কাঁদালে ‘দিয়ে গো’ , ভালোবাসারই ঘায়ে !

অভিযান ভট্টাচার্য্য

বুয়েনস আয়ার্স, ২০১৬ | ঝকঝকে শহরের ভাঁজে দারিদ্র্য লুকাবার নিঃসীম চেষ্টা ৷ কিন্তু সৌরভের কাছে বুয়েনস আয়ার্স এসবের উর্দ্ধে ৷ কোম্পানী থেকে  যখন  হঠাত বিজনেস মিটিং – এ বুয়েনস আয়ার্স গিয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সৌরভকে বলা হল, সে কিছুক্ষণ বিশ্বাস করতে পারছিল না। ব্যবসা চুলোয় যাক৷ বুয়েনস আয়ার্স অবশেষে তাকে ডাকছে! এ শহরতো তার কাছে শুধুই কোন শহর নয় – তীর্থক্ষেত্র !

সেদিন কাজ সেরে ফ্লোরিডা স্ট্রীটের আশাপাশে একটা জার্সির খোঁজ করছিল সৌরভ৷ আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের জার্সি ৷ বিশ্বকাপে তার প্রিয় দল। যবে থেকে সে মোটামুটি খেলা বুঝে বিশ্বকাপ দেখছে – মানে ১৯৯০ সাল থেকে – তবে থেকে আজ অব্দি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা হয় নি। তবু এ দেশটাকে নিয়েই তার যত আবেগ ৷ ফুটবলের আন্তর্জাতিক ময়দানে তার মননের মিড-ফিল্ড জুড়ে আছে এই দেশটাই ৷

কিন্তু যাকে ঘিরে এই বিদেশী দলের সাথে মনের আত্মীয়তা , তাকে তো সে পাচ্ছে না ! চারিদিকে দোকানীরা জার্সির পসরা সাজিয়ে রেখেছে। প্রায় সবার পেছনেই মেসির নাম। কোথাও হয়তো দু-একটার পিছনে রিকেলমে বা আগুয়েরো ৷  তাহলে কি রাজপুত্রকে তার নিজের রাজ্যই ভুলে গেল? সেও কি সম্ভব? যে ইষ্ট দেবতার আরাধনায় এই শহরকে সে তীর্থস্থান ভেবে যাত্রা করেছিল সে কোথায়?

খুঁজতে খুঁজতে একটা দোকানে ঢুকল ৷ নাঃ এখানেও নেই ৷ কুচ কুচে কালো ভুরুর তামাটে ত্বকের ল্যাটিন ললনা অবশ্য ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে জানাল, পছন্দসই একটা নাম বলে কিছু সময় অপেক্ষা করলে জার্সির পেছনে সেই পছন্দের নামটা তারা ছেপে দিতে পারে ৷ সৌরভ জানিয়ে দিল তার ঈশ্বরের নাম – “ম্যারাডোনা ” ! দোকানের কাউন্টারের পেছন দিকে জামাকাপড়ের স্তূপ গুছিয়ে রাখছিলেন এক বৃদ্ধ ৷ বোধহয় কাউন্টারের মেয়েটির বাবা ৷ সৌরভের মুখ থেকে কথাটা বেরোনর সঙ্গে সঙ্গে আচম্বিতে মুচকি হেসে তাকালেন সৌরভের দিকে ৷ মুষ্টিবদ্ধ  ডানহাতে নিজের হৃদয়ে দুটো প্রত্যয়ের মৃদু ঘুষি মেরে আবার কাজে মন দিলেন ৷ নাহ্, দেব দেউলের গভীর গর্ভগৃহে ঈশ্বর স্বাধিষ্ঠানেই আছেন। নিশ্চিন্ত হল সৌরভ৷

রিও দে লা প্লাতা নদীর দুই ধারে সুন্দর সাজানো গোছানো পুয়ের্তো মেদেরো ৷ বড় বড় পাঁচ তারা হোটেল, ছিমছাম রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, চওড়া পায়ে চলার পথ, পাশে নদীর দিকে মুখ করে বসে থাকার বেঞ্চের সারি ৷ এটাই শহরের সবচেয়ে সুন্দর এলাকা ৷ ফ্লোরিডা স্ট্রীট থেকে একটুখানি হাঁটা পথ ৷  জার্সিটা হাতে পাবার পর এখানেই একটা বেঞ্চে বসেছিল সৌরভ৷ জার্সিটা বুকের কাছে জড়িয়ে ধরেছিল ৷ উল্টোদিকের পাঁচতারা বাড়ির কাঁচের ওপর পড়ন্ত বিকেলের তীর্যক আলো যেন ফার্নেসে গলানো সোনা হয়ে চুঁইয়ে পড়ছে ৷ সেইদিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিল সৌরভ৷ সময়ের হিসাব নেই ৷ শুধু মনে হচ্ছিল, দৃষ্টি তার পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে ; আর তার ভস্মাধার থেকে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়াচ্ছে তার ঈশ্বর| একমাথা ঝাঁকড়া চুল ৷  কখনও মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে জানান দিচ্ছে চির-বিপ্লবীর  প্রত্যয় ৷ কখনও অবলীলায় দুপায়ের ছন্দে বল নাচাচ্ছে ৷ কখনও মাথায় বল স্থির রেখে ভুবন ভোলানো হাসি হেসে হাতছানি দিয়ে ডাকছে ৷

আস্তে আস্তে সৌরভ তলিয়ে যাচ্ছে নীচে, আরও নীচে ৷ রাজপুত্র ধীরে ধীরে হাসতে হাসতে ছোট্ট টিভির বাক্সে সাদাকালো মাঠে ঢুকে বল নিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ৷ মার খাচ্ছে, পড়ে যাচ্ছে ৷ তবু লড়াই ছাড়ছে না ! চারিদিকে মধ্যরাত্রের আঁধার | আধোঘুমে ছোট্ট সৌরভ দেখল সাদা কালো মাঠে কত মানুষ ! তাদের মাথায় , মানুষের ঢেউয়ে ভেসে আছে তরুণ ঈশ্বর হাতে তার ছোট্ট পৃথিবী ৷ কে যেন পাশ থেকে বলল, “ওই দ্যাখ, তোর মারাদোনা কাপ পেয়েছে ৷ ” মেক্সিকো ! ১৯৮৬ |

তারপর ! তারপর থেকে সবই মারাদোনাময় ৷ সময়ের গহ্বরে আস্তে আস্তে ওপরে উঠতে শুরু করল সৌরভ৷ ১৯৯০ | ইটালিয়া 90 – বিশ্বকাপ এবার  ইটালিতে ৷ টি ভি তে দেখাবে ৷ সৌরভ এখন সিক্সে পড়ে ৷ খবরের কাগজের খেলার পাতা জুড়ে মারাদোনার কত খবর ছবি ! ৪ বছর আগে শুধু বড়দের কাছে শুনেই যে ভক্তির জন্ম, এবার তা দৃষ্টির কষ্টিপাথরে যাচাই হবে ৷ সেদিন সন্ধ্যা রাত্তিরে শুরু হল খেলা ৷ বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা  বনাম খাতায় কলমে দুর্বল আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন – রজার মিল্লার দেশ | ওই তো মারাদোনা ! পায়ে বল নিলেই গোটা গ্যালারী চিৎকার  করছে। কিন্তু, মিল্লার বাহিনী মল্লবীরের মত মারাদোনা কে আটকাতে মরীয়া। কালো মানুষের পেশী ঈশ্বরের সমস্ত নান্দনিক সৃষ্টিকে যেন অঙ্কুরে শেষ করে দিতে চায় সভ্যতার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রবল জিঘাংসায় ৷ এ যেন শিল্পের সাথে শ্রমের  লড়াই৷ মুহুর্মূহু মাটিতে আছড়ে পড়ছে রাজপুত্র ৷ একা রাজপুত্র এগারোর সত্তা হয়ে গোটা মাঠে ৷ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে বল জড়িয়ে গেল আর্জেন্টিনার জালে ! কর্ণার ফ্ল্যাগে মিল্লার নাচ। রাজপুত্র বিধ্বস্ত ! গোটা পৃথিবী জেনে গেছে, ঈশ্বরকে কারারুদ্ধ করতে হবে – তাহলেই কেল্লাফতে৷ সেখানে মায়া নেই, দয়া নেই, ক্ষমা নেই।

চোখের জলে শুরু হোল সৌরভের বিশ্বকাপ ৷ অচিন কোন সত্বাকে ভালোবেসে তার বেদনায় নিজের হৃদয়ে যে আঘাত লাগতে পারে – ভালোবাসার সেই অদ্ভুত আঘাতের যন্ত্রনা সেদিন প্রথম বুঝল সৌরভ৷

কিন্তু দেবকীর অষ্টম গর্ভের মতোই ফুটবল ঈশ্বর গোটা বিশ্বের কারাগারের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিল ; গ্রুপ লিগ পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে উঠল  আর্জেন্টিনা ৷ কিন্তু বর্ষণবিক্ষুব্ধ যমুনার মতোই সামনে দাঁড়িয়ে কারেকা – ম্যুলার – দুঙ্গার বিশ্বত্রাস ব্রাজিল ৷ বিশ্বকাপের ইতিহাসে ব্রাজিলের অন্যতম সেরা দল। গোলে মৈনাক পর্বতের মতো দাঁড়িয়ে তাফারেল। দুর্বল আর্জেন্টিনার একমাত্র ভরসা তার রাজপুত্র ! বিশেষজ্ঞরা কাগজ ভারিয়ে দিয়েছেন রাজপুত্রের পরাজয়ের আশঙ্কা বানী শুনিয়ে ৷

খেলা শুরু হল ৷ নাগিনীর সহস্র ফনার মতো ব্রাজিলের আক্রমণের ঢেউ মুহুর্মুহু আঘাত করছে। সৌরভের হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকুনি বাড়ছে ৷ প্রতীক্ষা শেষের প্রথম দেখা কি এত অল্পেই মিলিয়ে যাবে? রাজপুত্র কোথায়? তাকে অদৃশ্য চক্রব্যুহে ঘিরে রেখেছে ব্রাজিলের বাহিনী ৷ পায়ে বল পড়লেই গ্যালারীতে শোরগোল ৷ কিন্তু মূহুর্তে তা বিলীন | ব্রাজিলের পায়ের জালে আটকে যাচ্ছে সব ৷ খেলা শেষ হতে আর বাকী প্রায় ১০ মিনিট ৷ আর্জেন্টিনার দূর্গের পতন বুঝি সময়ের অপেক্ষা৷ নিশ্চিত পতন থেকে বার কয়েক রক্ষা করেছে গোলরক্ষক গায়কাচিয়ার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব আর ক্রসবার ৷ কিন্তু, এভাবে আর কতক্ষণ !

হঠাত, সেন্টার লাইন থেকে বল নিয়ে শীতের ঝরে পড়া পাতার মতো এঁকেবেঁকে দৌড় শুরু করল রাজপুত্র ! কোথায় যাবে ? কি উদ্দেশ্য? চারিদিকে দুর্ভেদ্য আমাজন অরন্যের মতোই ব্রাজিলের পায়ের জঙ্গল ৷ চোখের সামনে পলকের মধ্যে রাজপুত্র ঈশ্বর হয়ে গেল ! যেন সে গোটা চক্রব্যূহটাই কাঁধে নিয়ে দৌড়ে চলেছে। মাত্র কয়েক গজ, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের দৌড় ৷ হঠাৎ ছিলা থেকে ছিটকে বেরোন তীরের মতো একটা পাস ব্রাজিলের ব্যূহ চিরে বামপ্রান্তে সবার অলক্ষ্যে প্রতীক্ষমান ক্যানিজিয়ার পায়ের ঠিকানা নিয়ে নিখুঁত নিশানায় চলে গেল। গোল! ঈশ্বর কারামুক্ত হলেন ৷ গ্যালারীতে সাম্বার শরীরী দোলা থেমে গেল। ব্রাজিলের অবিশ্বাস্য বিদায় ৷

এরপর সবার আশঙ্কা -বানী ব্যর্থ করে আবার বিশ্বকাপ ফাইনালে রাজপুত্রের দেশ | সামনে পশ্চিম জার্মানী ৷ ৮৬-র পর ৯০ | আবার বিশ্বজয়ের হাতছানি। সৌরভ আশা করে আছে, এবারেও রাজপুত্র যখন একার ঐশ্বরিকতায় এতদূর তার দলকে টেনে তুলল, আর একটু কি পারবে না? তাকে দেখেই তো সৌরভ হার না মানা লড়াইয়ের পাঠ নিয়েছে গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে ৷ কাগজে রাজপুত্রের ক্ষমতা নিয়ে অনেক শঙ্কার উচ্চারণ শোনা যাচ্ছে ৷ বাম পায়ে আঘাত নিয়ে নাকি খেলা চালাতে হচ্ছে। জার্মান ট্যাঙ্ক এবার গুঁড়িয়ে দিয়ে ৮৬-র বদলা নেবে ৷ ইয়ুরোপের  মূল ভূখণ্ড থেকে ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল ঈশ্বরকে পৃথিবী সঁপে দেবেনা যান্ত্রিক জার্মানী। কিন্তু রাজপুত্র কি ক্লান্তি ভুলে জ্বলে উঠবেনা ?

ফাইনালের শেষটা হল বড় মর্মন্তুদ | বিতর্কিত পেনাল্টিতে রাজপুত্রকে সিংহাসনচ্যুত করা হল । আশঙ্কা সত্যি হল তাহলে ! রানার-আপের পদক গলায় ঈশ্বরের চোখে জল ফ্লাড লাইটের সহস্র ওয়াটের আলোয় চিক  চিক করছে – যেন আন্দিজের শিখর চুঁয়ে নামছে সন্ধ্যার বর্ণমালা ! আর পারে নি সৌরভ৷ এতদিনের সমস্ত আবেগ নিরন্তর অশ্রু হয়ে বেরিয়ে এল। সারারাত কেঁদেছিল সৌরভ৷ টিভির পর্দায় যে কাঁদছে – সে তো আসলে একটা আবেগী মনের শিল্পী ! ওই চোখের জল তো আসলে এক বিপ্লবীর প্রত্যয়ের সততার বহিঃপ্রকাশ ৷ ৮৬ র বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বনিন্দিত হ্যান্ড -অফ-গড আসলে যে ফকল্যান্ডে ইংলন্ডের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের উপহাস! আজকের লড়াইতো ছিল ইউরোপের বুকে তৃতীয় বিশ্বের স্পর্ধা প্রতিষ্ঠার লড়াই ! ওই মানুষটার জন্য হৃদয় ছেঁড়া এক অব্যক্ত যন্ত্রণা হচ্ছিল ৷ আজ এতদিন পরে সেসব মনে পড়লে সত্যিই অবাক লাগে – এভাবেও ভালবাসা যায় ! ভালোবাসার আঘাতে এই ভাবে কাঁদা যায় !

সত্যিই, এই ভালোবাসার প্রতিদানে ঈশ্বরের ভান্ডারে বুঝি কান্না ছাড়া কিছুই দেবার ছিল না সৌরভের জন্য। 

১৯৯৪ | বিশ্বকাপ এবার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে৷ কাস্ত্রোর শত্রু আমেরিকা। তিন বছর আগে সোভিয়েত বিশ্ব ভেঙে খান খান। বিশ্ব এখন এক মেরু নির্ভর – আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ! মারাদোনার নেতৃত্বে সাড়া জাগানো শুরু করল আর্জেন্টিনা ৷ শক্তিশালী নাইজেরিয়া কে হারানোর পর গোটা বিশ্ব দেখল এক মার্কিন সুন্দরী হাসি মাখা মুখে সহাস্য মারাদোনার হাত ধরে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসছে।  দিয়েগোর উদ্দাম জীবন তখন সংবাদ পত্রে চর্চার বিষয় ৷ এই তরুণী কি সেই জীবনেরই নবতম কোন সহচরী? কিন্তু কে জানত, সেই হাসিমুখের পেছনে কি চরম বেদনা লুকিয়ে ছিল। পরদিন জানা গেল রাজপুত্রের রক্তে মাদকের সন্ধান পাওয়া গেছে।  ঈশ্বর চির নির্বাসিত ৷ সেই সহাস্য তরুণী আসলে মারাদোনাকে নিয়ে যাচ্ছিল পরীক্ষাগারে ৷ মারাদোনা বুঝতেও পারে নি কি ঘটতে চলছে। কেউ কেউ বলল  কাস্ত্রোর বন্ধুকে , চে-র অনুসারীকে হাতের নাগালে পেয়ে এ আসলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ধর্ষকামী প্রতিশোধ | কেউ ছুঁড়ে দিল বিদ্রূপ মারাদোনার প্রতি ৷ সৌরভ শুধু জানল, তার রাজপুত্রকে মাঝমাঠ চিরে দৌড়তে দেখা যাবে না আর ! যেমন রাতের আকাশে ব্যর্থ হয় নির্বাপিত সূর্যের সন্ধান ৷ শুধু তার অন্তরের গভীরে অশ্রুর চিরন্তন ফল্গুধারায় ভেসে থাকবে তার ভালোবাসার পৃথিবীর ঈশ্বর – দিয়েগো আমান্দো মারাদোনা !

দমকা ঠান্ডা হাওয়ায় সম্বিত ফিরল সৌরভের ৷ সূর্য নিভে গেছে বুয়েনস আয়ার্সের আকাশে ৷ একটা একটা করে আলো জ্বলছে তার অভাব মেটানোর অক্ষম চেষ্টায় ৷

Facebook Comments