Site Overlay

সম্পাদকীয়

ভাবতে অবাক লাগে ২৫ বছর হয়ে গেলো আমরা মাধ্যমিক দিয়েছি| সে সময় কী কখনো মনে হয়েছিল আমাদেরও বয়স চল্লিশ পেরোবে! বাচ্চারা তো বটেই, যাদেরকে নিজেদের সমবয়স্ক মনে করি তারাও কাকু, জেঠু বলবে! অথচ সাদা দাড়িওয়ালা কাকু-জেঠুদের মতো আমাদের তো হবার কথা ছিলোনা কখনো!

২৫ বছর আগে ভাবতুম সব বুঝে গেছি| অথচ আজ নিশ্চিত বলতে পারি বুঝে ফেললেই সব আনন্দ মাটি| একটু অবুঝ থাকাই বেশ|

তাই কিশোরদের আর সদ্য তরুণদের যেমন শখ হয় লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করার, অনেকটা সেই আবেগেই আমরা কয়েকজন আবার নেমে পড়েছি শিল্প-সন্ধানে| জ্বালিয়ে মারছি বন্ধুদের আর সদ্য হওয়া বান্ধবীদের| তাতে দেখলুম আমাদের মতো পাগল সংখ্যায় নেহাত কম নেই| কত জনকেই না পেলুম সাথে! সবার বুকেই ধিকি-ধিকি জ্বলছে প্রতিভার ছাই-চাপা আগুন| দশটা-পাঁচটার বাউন্ডারি পেরিয়ে, রাঁধা-বাড়ার দৈনন্দিনতাকে তুড়ি মেরে অবলীলায় শৈল্পিক ছক্কা হাঁকাচ্ছে আমার ছোটবেলার দস্যি সঙ্গীগুলো| তাদের সান্নিধ্যে মন স্নিগ্ধ হচ্ছে প্রতিদিনই| এই ওয়েব ম্যাগাজিনটি প্রকাশ করতে যে পারলুম সে প্রাপ্তি আর সে আনন্দ আমাদের সবারই|

তবে ফিসফিসিয়ে বলে রাখি সবার থেকে আনন্দ একটু বেশিই পেয়েছি আমি| মনে সাধ ছিল নাটক করবো, সে সাধ কিছুটা হলেও পূর্ণ হয়েছে| সাধ ছিল সম্পাদনা করবো, সে আনন্দও পেয়েছি| তবে সেই আনন্দ কিছুই নয় যখন ভাবি কতজনের সাথে এই ম্যাগাজিনের সূত্রে পুনর্মিলন হলো আমার| কতোজনকেই না ফিরে পেলুম আবার! তারাও বড় ভালোবাসা দিয়ে আমাদের দাবি মিটিয়েছে| লেখা দিয়েছে, ছবি দিয়েছে, ফটোগ্রাফ দিয়েছে, আবৃত্তি করেছে, নাটক করেছে একসাথে|

চারপাশের আতঙ্কময় পরিবেশ যেন শেষই হচ্ছে না| সব আনন্দ দমবন্ধ হয়ে থমকে আছে| সেসব ভুলে সবাই মিলে একটা ছোট্ট ছোটবেলা আবার ফিরে পাওয়া গেলো যেন| এক আকাশময় ভালোলাগা পেলুম| আশা করি সেই আকাশের মেঘে তোদের অবাধ আনাগোনা চলবে|

এই পথ যেন শেষ না হয়|
সবাই ভালো থাকিস, বন্ধুরা!

– হাসান

কয়েকজনকে ছাড়া এ ম্যাগাজিন যে বেরোতো না সেটা নিশ্চিত| তাই তাদের আলাদা করেই নাম নেবো – অভিযান, মৃন্ময়, সৈকত, প্রসূন আর স্বাতী (শিলং)|

টুপি পরে থাকলে বলতুম “হ্যাটস অফ!”

Facebook Comments

2 thoughts on “সম্পাদকীয়

  1. সাধুবাদ জানাই তোমাদের এই পবিত্র উদ্যোগকে । তোমাদের থেকে মাত্র ৩ বছর আগে মাধ্যমিক এর গন্ডি পেরিয়েছিলাম। বয়সের পেশীশক্তি বেশী হলেও মনের মধ্যে এখনো ওই ছেলেবেলাটাই দাপাদাপি করে বেড়ায় । আর তার মাঝে তোমাদের এই প্রয়াস নিতান্তই নির্মল আনন্দ দিয়েছে। তোমাদের সেই ক্লাস ফাইভের মুখগুলো এখনও পর্যন্ত ঠিক ঠিক মনে পড়ে, প্রায় সবারই । ভাল থেকো ।

    1. অনেক ধন্যবাদ, মানসদা! অনেক উৎসাহ পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে| আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাকে পাশে পাবো| কিছু উপদেশ থাকলে অবশ্যই জানাতে দ্বিধা করবেন না|

Comments are closed.